হ্নীলা গুহাফার ২৪তম আন্ত:উপজেলা বৃত্তি পরীক্ষা উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে সম্পন্ন 

ছৈয়দ করিম রনি-হ্নীলা

টেকনাফ উপজেলার স্বাস্থ্য-চিকিৎসা ও শিক্ষা উন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠান হ্নীলা গুলফরাজ-হাশেম ফাউন্ডেশনের ২৪তম আন্ত:উপজেলা বৃত্তি পরীক্ষা উৎসাহ-উদ্দীপণা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। 

২০ডিসেম্বর (শুক্রবার) সকাল ১০টায় উপজেলার হ্নীলা গুলফরাজ-হাশেম ফাউন্ডেশনের ২৪তম আন্ত: উপজেলা বৃত্তি পরীক্ষা হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয় হলরোমে শুরু হয়। উপজেলার ২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রেশনকৃত ১৪৪জন ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ১২১জন ছাত্র-ছাত্রী,৩০টি ইবতেদায়ী মাদ্রাসার রেজিষ্ট্রেশনকৃত ১৮৫জন ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ১৭০জন ছাত্র-ছাত্রী, ১১টি হাইস্কুলের রেজিষ্ট্রেশনকৃত ৬২জনের মধ্যে ৪৯জন এবং ৯টি মাদ্রাসার রেজিষ্ট্রেশনকৃত ৬৬জনের মধ্যে ৬১জন ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন। পরীক্ষায় হল সুপারের দায়িত্ব পালন করেন মাওলানা এসএম সাইফুল্লাহ,সদস্য সচিব হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম এবং সার্বিক নিরাপত্তা ও শৃংখলার দায়িত্বে ছিলেন গুহাফার সদস্য মাহবুব মোরশেদের নেতৃত্বে বিশেষ স্কাউট দল। 

পরীক্ষা চলাকালীন বৃত্তি পরীক্ষার বিভিন্ন কক্ষ পরিদর্শন করেন গুহাফা পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি ছালেহ আহমদ মেম্বার, কায়সার উদ্দিন আহমদ, মাষ্টার শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সালাহ উদ্দিন জামাল, সহসাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মমতাজুল ইসলাম মনু, অর্থ সম্পাদক মাষ্টার কামাল আহমদ, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা শাকের আহমদ, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কফিল আহমদ, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক হাফেজ এনামুল হক মঞ্জুর, রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক দেলোয়ার হোসেন মিল্কী, গুহাফার নিয়মিত চিকিৎসক ডাঃ জালাল আহমদ ও নির্বাহী সদস্য আব্দুল আজিজ প্রমুখ। হল গার্ডের দায়িত্ব পালন করেন উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে বাছাইকৃত শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ। দুপুরে পরীক্ষা শেষে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শে^ত লাল চন্দ্র দাশের সমন্বয়ে নিরীক্ষক দল পরীক্ষার্থীদের খাতা নিরীক্ষণ কার্য্যক্রম শুরু করেন। নিরীক্ষণ কার্য্যক্রম শেষ হলে রাতেই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের প্রস্তুতি চলছে। 

উল্লেখ্য, ১৯৯৮সালে উপজেলার ১ম এমবিবিএস ডাক্তার প্রয়াত জামাল আহমদ টেকনাফ উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের গরীব এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা লাভের সুযোগ সৃষ্টি, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মা-বাবার নামে এই দাতব্য প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেন। এলাকার অসহায়-দরিদ্র মানুষের মৌলিক অধিকার লাভে সহায়তা করতে এই ধরনের দাতব্য প্রতিষ্ঠানের বিকল্প কিছু নেই। তাই সবাইকে এই ধরনের প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখার জন্য সকলের সহায়তা কামনা করছেন সুশীল সমাজ। ####